২০৬ বছর পর সন্ধান নেপোলিয়নের বিপুল গুপ্তধনের
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:২৫, আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৪
সম্রাট নেপোলিয়নের সোনা। ২০৬ বছর যার সন্ধানে হন্যে হয়ে খুঁজছেন বহু মানুষ। প্রায় ৮০ টনের সেই বিপুল স্বর্ণ ভাণ্ডারের হদিস কি মিলল অবশেষে? রাশিয়ার এক বিজ্ঞানী সম্প্রতি সেই দাবিই করলেন। ভায়াচেসলাভ রিজকোভ দাবি করেন, সন্ধান পাওয়া গেছে সেই সোনার। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বলেছিলেন, স্মোলেনস্ক এলাকার সেমলেভো বা নেপোলিয়ান লেকে সোনা রয়েছে। বহু ইতিহাসবিদের দাবি এমনই। রিজকোভের দাবি, সেমলেভো নয়, সম্রাট আসলে এই জায়গা থেকে ৪০ মাইল দূরে লুকিয়েছিলেন এই সোনা। আসল এই সোনা রয়েছে লেক বোলশায়ায়। নেপোয়িলনই রাজা আলেকজান্ডার প্রথম-এর দৃষ্টি ঘোরাতে লেক সেমলেভোর কাছে পাঠিয়েছিলেন। আসলে নাকি ১৮১২ সাল থেকে মস্কোর কাছের এই অঞ্চলেই রয়েছে সোনা। নেপোলিয়ানের ঘনিষ্ঠরাই এই কাজে তাকে সাহায্য করেন বলেও দাবি রিজকোভের। বেলারুশ সীমান্তের কাছেই সেই সোনা লুকিয়ে রাখা রয়েছে।
রুডনিয়ার কাছে মস্কো থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে বোলশায়া রুতাভেচ লেকে এই সোনা ও গুপ্তধন ফেলে দেয়া হয় বলেও দাবি করেছেন ইতিহাসবিদ। বেশ কিছু সোনা গলিয়ে বার তৈরি করেও জলে ফেলে দেয়া হয়েছিল আলেকজান্ডার প্রথমকে ধোঁকা দিতে। ইতিহাসবিদদের বহু দিনের দাবি, ৪০০টি ওয়াগন ভর্তি সোনা নেপোলিয়নের ৫০০ জন ঘোড়সওয়ার ও ২৫০ জন এলিট ওল্ড গার্ডের প্রহরায় ছিল। নেপোলিয়ন নিজে এই গুপ্তধন ও সোনার সমাধিস্থ হওয়া দেখতে গিয়েছিলেন, জানান রিজকোভ। ডিসেম্বরের ঠাণ্ডায় ওয়াগন ভর্তি সোনার সবটাই ফেলে দেয়া হয়েছিল জলাশয়ে। ১৯৮০ সালে এই লেকের পানিতেই প্রচুর পরিমাণে রুপা মিলেছিল। ওয়াল্টার স্কট তার দ্য লাইফ অব নেপোলিয়ন বোনাপার্টে উল্লেখ করেছেন এই সোনার কথা।
এই বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে উৎসাহ আরো বেড়েছে এর পর থেকেই। তবে এখন পর্যন্ত সেমলেভো লেক থেকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হলেও কোনো দিনই সোনাদানা উদ্ধার হয়নি। ৬০ ও ৭০ এর দশকে রাশিয়া এই সোনা উদ্ধারের চেষ্টা করেছে অসংখ্যবার কিন্তু সফল হয়নি। বহু বছর ধরে এই এলাকায় সোনার সন্ধান করছেন ভøালাদিমির পোরিভেইভ নামে এক ইতিহাসবিদ। তিনি বলছেন, রিজকোভের দাবি ভিত্তিহীন। পোরিভায়েভ বলেন, ডিসেম্বরের মাঝে বরফ জমা লেকে কেন সোনা রাখা হবে এর কোনো যুক্তি নেই। তবে প্রাচীন আমলের সোনার সন্ধানে লেকগুলো নিয়ে উৎসাহ বেড়েই চলেছে ২০০ বছর ধরে। ইন্টারনেট।